Politics
-
বহুত্ব, শেষ পর্যন্ত - ভারতীয় গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছে তার কণ্ঠস্বর
নাগরিকত্বের প্রশ্নে দেশের বহু অঞ্চলে যে আকস্মিক এবং স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদের বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেটা নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রথম বড় মাপের সামগ্রিক আন্দোলন। সাড়ে পাঁচ বছর ধরে দুনিয়ার বৃহত্তম গণতন্ত্র নীরবে দেখেছে, কর্তৃত্ববাদ ও সাম্প্রদায়িকতার আধিপত্য কী ভাবে উত্তরোত্তর জোরদার হয়েছে। কিন্তু এ বার যেন সে আপন কণ্ঠস্বর ফিরে পেয়েছে। ভারতের মানুষ দিনের পর দিন দেখেছেন, এক দিকে জনপরিসরের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ধারাবাহিক ভাবে আক্রান্ত হচ্ছে, স্বাধিকার এবং ন্যায়ের কাঠামো ক্রমাগত বিধ্বস্ত হচ্ছে, অন্য দিকে কংগ্রেস নিজের মৃত্যুকামনায় একনিষ্ঠ, বামপন্থীরা ধূলিসাৎ, অন্য নানা বিবর্ণ বিরোধী দল দিশাহারা।
-
বিশ্বাসই কি গুরুত্ব পেল?
গত শনিবার, ৯ নভেম্বর, অনেক কিছুই হল। বার্লিন প্রাচীর ভাঙার ৩০ বছর পূর্ণ হল; শিখরা ভিসা ছাড়াই গেলেন পাকিস্তানের পবিত্র করতারপুর সাহিব গুরুদ্বারে; মুসলমানরা প্রস্তুত হলেন হজরত মহম্মদের আসন্ন জন্মদিন পালন করতে; কলকাতা আর মুম্বই রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করল ঝড়ের জন্য, দিনভর বৃষ্টি হল। কিন্তু, গোটা দেশের নজর ছিল দিল্লিতে, সুপ্রিম কোর্টের দিকে। আদালত অযোধ্যার জমি-বিবাদের মামলায় রায় দিল। এই বিবাদ ইতিমধ্যেই বহু হাজার মানুষের প্রাণ কেড়েছে।
-
Ayodhya Verdict: Has Faith Prevailed Over Justice?
The 9th of November was, indeed, a very interesting Saturday. The world celebrated the 30th anniversary of the fall of the Berlin Wall; Sikhs rejoiced their visa-free darshan of holy Kartarpur Sahib Gurudwara within Pakistan; many Muslims prepared for the imminent birthday of Prophet Muhammad; while Kolkata and Mumbai braced for deadly cyclones, even as it rained incessantly. But all eyes were on the Supreme Court in Delhi as it finally delivered its verdict in the epoch-making dispute at Ayodhya, over which thousands had already lost their lives. Interestingly, even those who had orchestrated the orgy of riot, arson and murder, both before and after razing the masjid in 1992, were not prepared to take chances.
-
What Ails the Indian Administrative Service
What ails the Indian Administrative Service? This is precisely the question that has been raised in the book by N.C. Saxena, a role-model IAS officer who helped stop Vedanta’s mining project from decimating Odisha’s forests and tribal habitats. A prominent member of the almost extinct breed of scholar-administrators, Saxena also asks ‘why it [IAS] fails to deliver’ and tries to address, as honestly as possible, the issues that most bureaucrats would either deny or avoid.
-
Trinamool Must Check Its Own Intolerance to Counter the Rise of BJP in Bengal
I have no love lost for any of the four major political parties that I have interacted with in Bengal in the last half-century. I joined the Indian Administrative Service in 1975 during the Emergency, and I have seen at close quarters how democracy was trampled by the Congress in Bengal – with the Maintenance of Internal Security Act, arbitrary arrests and detentions by the police and widespread clampdown on free speech and political rights.
-
রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা বন্ধ না হলে এই রাজ্যের বিরাট ক্ষতি
রথমেই বলে নেওয়া ভাল, গত অর্ধশতকে পশ্চিমবঙ্গে প্রধান যে চারটি দলের সঙ্গে আমার পরিচয়, তার কোনওটির প্রতিই আমার অনুরাগ নেই। ১৯৭৫ সালে যখন আইএএস-এ যোগ দিই, তখন জরুরি অবস্থা চলছে। খুব কাছ থেকে দেখেছি, কংগ্রেস কী ভাবে ‘মিসা’ প্রয়োগ করে, বিরোধীদের যথেচ্ছ গ্রেফতার করে এবং কণ্ঠরোধ করে গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছে। বামফ্রন্টের চৌত্রিশ বছরের শাসনকালে তেইশ বছর সেই সরকারের অধীনে কাজ করেছি। তখন একদলীয় রাষ্ট্রের উত্থান, প্রতি স্তরে ‘আমরা-ওরা’ বিভাজন এবং বিরোধীকে কোণঠাসা করার রীতিও দেখেছি।
-
রোগ এখন মজ্জাগত
সময় হয়েছে নির্বাচনের ফল প্রকাশের। এবং সময় হয়েছে এই সত্য স্বীকার করে নেওয়ার যে, নতুন সরকার যারাই গড়ুক, গত কয়েক বছরে ভারতীয় বাস্তবে যে পরিবর্তন ঘটেছে, তার প্রভাব কাটবে না। ১৯৪৭ থেকে ২০১৪, এই দীর্ঘ সময়ে ভারতের সামগ্রিক চরিত্র ছিল মোটের উপর সহিষ্ণু, ধর্মনিরপেক্ষ এবং অনেকাংশেই গণতান্ত্রিক আদর্শে আস্থাশীল। কিন্তু গত পাঁচ বছরে যে সব বিশ্বাস এবং আচরণ এ দেশের সমাজের মনে ঢোকানো হয়েছে এবং লালন করা হয়েছে, তার ফলে কাঁটাটা অনেকখানি ঘুরে গিয়েছে, কেবল হিন্দুত্বের দিকে নয়, দক্ষিণপন্থার দিকেও (দুটো সব সময় এক নয়)।
-
It Doesn’t Matter Who Wins Today – India Remains Battered and Divided
Countless people are arguing incessantly about whether Narendra Modi will come back to power – many have assumed that it is a foregone conclusion.
It may be time to take a realistic look, which means that it does not matter which political party or parties form the next government. Only the naive refuse to believe that India is what it was between 1947 and 2014 – largely tolerant, secular and wedded to democratic norms.
-
Hawkers Are Now Here For Ever
At a time when all attention is on the elections, this topic could be discussed later, but by then, it may be too late. Fresh bamboo poles are being put up on pavements every day in some locality or the other, to test the ground for new stalls to come up — precisely because most policemen are busy with elections, meetings and processions. Sensible people in Kolkata have long given up all dreams of seeing a ‘London’ and tiny Chinese lights glittering at night simply cannot hide the ever expanding shanties and squalor that symbolise the city. Street vendors, as hawkers are called in legal language, have been encroaching every possible public space at such an alarming rate that there is either a master plan to slum-ify the city or there is a dangerous conspiracy of silence. What is important for us to realise is that once the new law is in position in the near future, it will be impossible to remove street vendors ever again.
-
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের আগে
হয়তো সত্যিই এই আইন পুলিশি জুলুম থেকে হকারদের বাঁচাতে পারবে। কিন্তু স্থানীয় তোলাবাজদের হাত থেকে তাঁদের রক্ষা করবে কে? এই আইনের ৪ নম্বর ধারা অনুয়ায়ী লাইসেন্স বিলি করা, এবং ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী লাইসেন্স নবীকরণ ও উত্তরাধিকার নিশ্চিতকরণ— এই সবের আগে এখনও ভেবে দেখার সময় আছে। ঠান্ডা মাথায় ভাল করে ভেবে নিয়ে, ফুটপাত আর সংলগ্ন রাস্তার প্রতিটি ইঞ্চি চিরতরে বেহাত হয়ে যাওয়ার আগে, অঞ্চল ধরে ধরে ঠিক করা দরকার যে, ‘হকার অঞ্চল’ ঠিক কোথায় কোথায় তৈরি হওয়া উচিত। আমরা জানি যে, বাস্তবিক হকারদের ছাড়া আমাদের রোজকার জীবন অচল।
-
ভোটটা গোপন থাক, বর্তমান সরকার কিন্তু সেটা চায় না!
নির্বাচনী প্রক্রিয়ার একজন উৎসাহী এবং তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষক হওয়াতে আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি যে, এই নির্বাচন অন্যান্য বারের চেয়ে সত্যিই বেশ আলাদা রকম। এটা বলছি, কারণ বর্তমানে আমার মূল দুশ্চিন্তার বিষয় হল, আমরা কি ভোটদাতাদের সুরক্ষার জন্য অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করব না যাতে তাঁরা পরবর্তী কালে, যে কোন শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের হাতে— সে কেন্দ্রেই হোক বা রাজ্যে— চিহ্নিত এবং নিগৃহীত না হন?
-
Will Our Vote Be Known
As a keen observer of the electoral process, I can safely say that this election is really quite different from others —except perhaps 1977 — as India has to take a very grave choice, on which the future of the nation depends in many senses. Having said that, my main worry now is that since vindictiveness is a part of state policy, should we not take extra care to protect the voter from being identified and harassed later on, by any powerful party at the centre or in the states?
-
নির্বাচন কমিশন কি সন্ত্রস্ত
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কংগ্রেস, সিপিএম বা তৃণমূল পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলার বহু আগেই আইএএস, আইএফএস, আইপিএস ও নানা কেন্দ্রীয় সার্ভিস-এর প্রায় দেড়শো জন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার কমিশনকে ‘হলুদ কার্ড’ দেখিয়েছিলেন। নেতৃত্বে ছিলেন এক জনজাতির তিন অফিসার। এই দুই অভিযোগে পার্থক্য আছে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল জমানায় পরিচালিত সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচন যে অবাধ হয়নি, সে স্মৃতি টাটকা। সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় ও পরে বামফ্রন্ট আমলের ‘রিগিং’ও কুখ্যাত। কিন্তু ‘কনস্টিটিউশনাল কনডাক্ট’ বা সাংবিধানিক আচরণবিধি নাম দিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে গিয়ে এর কোনওটির কথাই বলেননি অবসরপ্রাপ্ত অফিসাররা। এই দলে আছেন একাধিক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনার, অনেক রাজ্যের প্রাক্তন প্রধান নির্বাচনী আধিকারিক এবং বহু প্রাক্তন রিটার্নিং অফিসার।
-
Is the Election Commission Overawed?
Long before Congress, the Communist Party of India (Marxist) or the Trinamool Congress started raising their voices against the Election Commission’s alleged bias, a group of some 150 retired officials of the IAS, IFS, IPS and Central Services had already started waving the ‘yellow card’ at the Commission that is led by three officers of the same tribe.
-
Modi’s Surgical Strikes Bears Resemblance to a Game of Kabaddi
Narendra Modi’s record in office being quite pathetic and people having neither forgotten nor forgiven him for the economic mess that he created with his ‘demonetisation’ that caused havoc in the economy and destroyed livelihoods, it is hardly surprising that he has fallen back on faux nationalism as the cornerstone of his poll campaign.
-
An Old Game of Thrones (on Modi’s Options)
Those who are wondering what happened on February 26 at Balakot and how an Indian air force pilot fell captive soon after may recall the game of kabaddi. It is the only indigenous game of India and Pakistan that remained alive in spite of the takeover by colonial sports like cricket, football, hockey, tennis or badminton. Not only did it survive, but it also staged a remarkable comeback. Both Indians and Pakistanis enjoy that surge of adrenaline every time ‘their raider’ sneaks into enemy territory and ‘tags’ or knocks out one or more targets — even as the entire opposing team tries its best to grab the raider and pin him down.
-
Modi’s Unheroic Nationalist Idol (Savarkar)
On December 30, last year, we were treated to the most unusual spectacle of the Prime Minister of India sitting on the floor or a cell of a jail, his legs crossed over each other, and his palms joined in prayer.
He was, however, not praying to God — he was actually worshipping his guru, Veer Damodar Savarkar, who had once been imprisoned in this cell and his eyes were transfixed on his portrait that was propped up a few feet away.
-
Contending with Contentious Cows
Public administration, as distinct from political governance, has its own problems. For political programmes have a way of boomeranging on the government of the day. Sometimes, they can be anticipated, on other occasions, they are intended to provoke and occasionally, they just create a mess: a recent example is the ugly fallout of Chief Minister Yogi Adityanath's complete ban on cow slaughter in Uttar Pradesh that might have been avoided with some planning, patience and a sense of perspective.
-
ইতিহাসও হাসবে না কাঁদবে ভেবে পাচ্ছে না
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল কয়েক ফুট দূরত্বে রাখা সাভারকরের ছবির ওপর। ‘হিন্দুত্ব’-এর ধারণাটির স্রষ্টা সাভারকর এই মতবাদের জনক হিসাবে স্বীকৃত। তিনি প্রজন্মের পর প্রজন্মকে এক হিন্দু ভারতের স্বপ্ন দেখতে এবং তার জন্য দাবি জানাতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। যে কারাগার পরিদর্শনে মোদী গিয়েছিলেন, সেটি হল আন্দামানের সেলুলার জেল। ভয়ঙ্কর ‘কালা পানি’র কথা ভারত কখনও ভুলতে পারবে না।
-
It’s About Time Two Warring Indias Unite
The recent election results in the three Hindi belt states of Rajasthan, Madhya Pradesh and Chhattisgarh have proved that Narendra Modi is certainly not as invincible as he was being made out to be. But they have also proved that voters are split right down the middle, as the difference in the total votes secured by the two major parties, the Bharatiya Janata Party (BJP) and the Congress, is literally hair-thin.
Page 7 of 10