Religion । ধর্ম
-
অম্বুবাচী
হিন্দুধর্ম হল পৃথিবীর প্রাচীনতম জীবিত ধর্ম। এই ধর্মে এখনও কিছু খুব পুরনো নিয়ম বহাল রয়েছে, যেগুলো সময়ের সঙ্গে বিবর্তিত হয়নি, আধুনিক জীবনের আঙ্গিকে সেগুলি বেমানান। সময়ের সঙ্গে রীতিনীতিগুলো বদলালে জীবনের কিছু কঠোর বাস্তবকে স্বীকার করে নেওয়া অনেক সহজ হত। বস্তুত, কিছু আধুনিক মেয়ে, মা-ঠাকুমাদের অশেষ অস্বস্তিতে ফেলে, ঋতুচক্র বিষয়ে তাদের পুরুষ বন্ধু বা সহকর্মীর সঙ্গে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বা লোকসমক্ষে কথা বলা শুরু করার আগে অবধি অত্যন্ত সচেতন ভাবে এই বিষয়ে সমস্ত কথা চেপে রাখা হয়েছে— কেবল গুজগুজ, ফিসফিস।
-
চৈত্রে নতুন বছর
এত বড় এবং বৈচিত্রময় একটা দেশ, একশো কোটির বেশি মানুষ, অথচ প্রায় গোটা দেশেই নতুন বছর শুরু হয়েছে মোটামুটি একই সময়ে, বড়জোর কয়েক দিনের ব্যবধানে। এটা অবাক করে দেয় বইকী!
-
মহামারী অতীত, মা শীতলা কালজয়ী
যাঁ রা মনে করেন, শীতলা নিতান্তই গ্রামের অশিক্ষিত কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের আরাধ্য রকমারি স্থানীয় দেবদেবীর এক জন, তাঁদের জানা নেই, তিনি গোটা ভারতে পূজিত হন। কেবল দক্ষিণ ভারতের কিছু এলাকায় তাঁর পুজো হয় না, কারণ সেখানে সর্বার্থসাধিকা দেবী মারিয়াম্মার রাজত্ব। স্কন্দপুরাণ ও ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণের মতো কয়েকটি প্রাচীন পুরাণে শীতলার কথা আছে, সেখানে তাঁকে গুটিবসন্তের (স্মল পক্স) নিয়ন্তা হিসেবে দেখানো হয়েছে। যজ্ঞের আগুন থেকে তাঁর উদ্ভব, এবং ভগবান ব্রহ্মা কেবল তাঁকে নয়, তাঁর সহচর জ্বরাসুরকেও পুজো করার জন্য মানবজাতিকে উপদেশ দিয়েছিলেন।
-
In Search Of Durga
When we look at Durga's image in her desperate battle against the ferocious Mahishasura, we may also notice that her family members appear rather disinterested. Handsome Kartik does not lift his weapons; Ganesh appears almost smiling; Lakshmi holds on to her jhampi more tightly and Saraswati looks pretty with her veena. To understand this strange situation, we have to turn to history, first from other countries and then closer at home.
-
সরস্বতী- নদী ও দেবী
যুগে যুগে বাঙালি ছাত্রছাত্রীরা মা সরস্বতীকে মনেপ্রাণে ডেকেছে, পরীক্ষাটা যেন ভাল হয়। সরস্বতীকে আমরা ঘরের মানুষ হিসেবে দেখি। তিনি কিন্তু যে সে দেবী নন। বৈদিক যুগের যে গুটিকয়েক দেবদেবীর পুজো এখনও হয়,সরস্বতী তাঁদের এক জন। আজ বাংলার বাইরে ভারতের অন্যান্য জায়গায় তিনি বিশেষ পূজিত নন, অথচ সুদূর জাপান আর বালি দ্বীপে তিনি এমন আরাধিত!
-
কোথা থেকে এল বড়দিন আর সান্তা ক্লস
নানা রঙের আলোয় আর কাগজের তারায় পার্ক স্ট্রিট সেজে উঠেছে, কলকাতায় আনন্দময় বড়দিন এল। অনেকেই এই দিন সাহেবপাড়ায় সন্ধেটা কাটাবেন, ধর্মপ্রাণরা সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রালে যাবেন মধ্যরাত্রির উপাসনায়। খ্রিস্টের জন্মদিনে শুরু হবে এক সপ্তাহের উত্সব, নিউ ইয়ার্স-এ যার শেষ।
-
অসুরকেও বাপের বাড়ি টেনে আনলে মা?
একটা জিনিস পুজোর সময় আমাদের সকলেরই চোখে পড়ে। মা দুর্গা মহিষাসুরের সঙ্গে ধুন্ধুমার লড়াই করছেন, অথচ তাঁর ছেলেমেয়েরা নিতান্ত উদাসীন ভাবে পাশে দাঁড়িয়ে। সুদর্শন কার্তিক তাঁর অস্ত্র তোলেন না, গণেশের মুখে তো একটা হাসির আভাস, লক্ষ্মী নিজের ঝাঁপিটা আরও শক্ত করে চেপে ধরেন, সরস্বতীও বীণা হাতে দিব্যি দাঁড়িয়ে থাকেন। এই অদ্ভুত দৃশ্যের অর্থ বুঝতে ইতিহাসের দিকে নজর দিতে হবে। প্রথমে বাইরের ইতিহাস, তার পর ঘরের।
-
আশ্বিনের শারদপ্রাতে
সবচেয়ে তর্কবাগীশ বাঙালিটিও নিশ্চয় মানবেন, মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ এক বিরল অনুষ্ঠান, যা আমাদের সাংস্কৃতিক অতীতের সঙ্গে যোগসূত্র রেখে চলেছে। ১৯৩২-এ যখন মহিষাসুরমর্দিনী শুরু হয়, আকাশবাণীর তখনকার প্রোগ্রাম ডিরেক্টর নৃপেন্দ্রনাথ মজুমদার বোধ করি ভাবতেও পারেননি, এ অনুষ্ঠান এতটা সফল হতে চলেছে। আকাশবাণীতে যাঁদের সিরিয়াস আড্ডা থেকে এই অনুষ্ঠানের ভাবনাটা এসেছিল, তাঁদের মধ্যে ছিলেন পঙ্কজকুমার মল্লিক, বাণীকুমার, ‘গল্পদাদু’ যোগেশ বসু, রাইচাঁদ বড়াল এবং অবশ্যই বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র।
-
জীবিত ও মৃত
কাল ২ নভেম্বর। মৃতেরা এই দিন দুনিয়া জুড়ে এক আশ্চর্য ঐক্য রচনা করে। খ্রিস্টানদের তো এটি ‘অল সোল্’স’ ডে’। এ দিন তাঁরা প্রয়াত স্বজনদের স্মরণ করেন, তাঁদের সমাধিতে ফুল রাখেন, দীপ জ্বালান, সমাধিক্ষেত্রগুলি আলোকয় আলোকময় হয়ে ওঠে। আমরা খেয়াল করি না, পৃথিবীর বহু অঞ্চলের মানুষ মনে করেন, অক্টোবর-নভেম্বরের এই সময়টাতেই ‘জীবিত ও মৃতের ভুবনের মধ্যে সীমারেখাটা ক্ষীণতম হয়ে ওঠে, কারণ বিদেহী আত্মারা এই সময় তাঁদের জীবিত স্বজনদের কাছে ফিরে আসেন।’
-
‘ঈশ্বরের কাছে পৌঁছয় কেবল ভক্তি’
পবিত্র হজ-এর মাসের দশম দিনে পালিত হয় ইদ-উল-জুহা। অন্য নাম ইদ-আল-আদা। এটি চার দিনের উৎসব। মক্কার পূর্ব দিকে মাউন্ট আরাফত থেকে হজযাত্রীদের নেমে আসার সঙ্গে এই উৎসবের সমাপতন ঘটে। পারস্যে এর নাম ইদ-এ-গোরবান, তুরস্কে কুরবান বয়রামি, বলকান অঞ্চলে কুরবান বজরম, মান্দারিন চিনা ভাষায় একে বলে কুয়েরপাং চিয়ে, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় হারি রায়া কোরবান, বাংলায় কোরবানির ইদ।
-
কেন আমরা আর একটু জানব না
রমজান মাস এবং ইদের চাঁদ, এইটুকু আমরা জানি, কিন্তু ইদ-উল-ফিতর-এর উত্স সম্বন্ধে অনেকেরই বিশেষ ধারণা নেই। ভারতের বৃহত্তম ‘সংখ্যালঘু’ সম্প্রদায়ের এই বিরাট উত্সবটি সম্পর্কে আর একটু জানলে মন্দ হয় না। আল্লাহ্-র দূতের মুখে কোরান প্রথম শোনার ঘটনাটির স্মারক হিসেবে চান্দ্র ক্যালেন্ডারের নবম মাসকে হজরত মহম্মদ রমজানের উপবাসের জন্য চিহ্নিত করেছিলেন।
-
জামাই রহস্য
এই দিনটাতে আমার মা তাঁর চঞ্চল ছেলেমেয়েদের শীতলপাটিতে বসিয়ে শোনাতেন, কী ভাবে মা ষষ্ঠী সমস্ত শিশুদের মঙ্গল করেন, তাদের দীর্ঘ জীবন দেন। তিনি কয়েকটি মন্ত্র পড়ে একটা অদ্ভুত দেখতে দূর্বাঘাসের ছোট্ট চামর দিয়ে আমাদের গায়ে মাথায় পুণ্যবারি ছিটিয়ে আশীর্বাদ করতেন, মুঠো ভরে ফলমূল দিতেন। বিয়ের পরে আমার বনেদি ঘটি শ্বশুরবাড়িতে দেখলাম, ওঁরা আমার মায়ের সন্তান-ষষ্ঠীকে একটা নিতান্ত বাঙাল ব্যাপার বলে মনে করেন, তাঁদের কাছে এটা একেবারেই জামাইয়ের দিন। আমার অবশ্য তাতে কোনও সমস্যা ছিল না, কারণ আমার শাশুড়ি সে দিন আমার পাতে অন্তত পাঁচ-ছ’রকমের মাছ-মাংস এবং সমানসংখ্যক মিষ্টি সাজিয়ে খেতে বসাতেন। কব্জি ডুবিয়ে তার সদ্ব্যবহার করতাম।
-
ইস্টারের জন্ম কিন্তু খ্রিস্টের অনেক আগে
একটা প্রশ্ন প্রায়ই ওঠে: খ্রিস্টের ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার দিনকে ‘গুড ফ্রাইডে’ কেন বলা হয়? এমন যন্ত্রণাদায়ক অবসানের মধ্যে ‘শুভ’টা কী? বস্তুত, জার্মানিতে এবং অন্য কোথাও কোথাও খ্রিস্টধর্মের কিছু ধারায় এই দিনটির নাম ‘বেদনাময় শুক্রবার’। ইংরেজি নামটির একটি ব্যাখ্যা হল, এটি ‘গড’স ফ্রাইডে’র পরিবর্তিত রূপ। আবার, পবিত্র (‘হোলি’ বা ‘পায়াস’) অর্থে প্রাচীন ইংরেজিতে ‘গুড’ শব্দটি ব্যবহৃত হত, নামটা সেখান থেকেও এসে থাকতে পারে। এটিই ইস্টার পরবের প্রধান দিন।
-
বুদ্ধপূর্ণিমা
কূটনীতিতে ‘সফ্ট পাওয়ার’ কথাটা খুব প্রচলিত। একটি দেশ অন্যান্য দেশের উপর নিজের সাংস্কৃতিক প্রভাব বিস্তার করতে পারলে যে কূটনৈতিক শক্তি অর্জন করে, সেটাই সফ্ট পাওয়ার। অনেকের মতেই, ভারতের এই ক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করা উচিত। কী ভাবে? মনে রাখা দরকার, সভ্যতার ইতিহাসে ভারতের সবচেয়ে শক্তিমান সাংস্কৃতিক রফতানিটি হল বৌদ্ধ দর্শন, যে দর্শন শান্তি ও অহিংসার আদর্শকে তুলে ধরে।
-
শিবরাত্রি
পুরাণের শিব প্রধানত পুরুষের আরাধ্য। উপোস করে শিবের মাথায় জল ঢেলে শিবরাত্রি পালনের যে ব্রত মেয়েদের শেখানো হয়েছে, সেটি পিতৃতন্ত্রের ঐতিহাসিক কারসাজি।
-
মকর সংক্রান্তি
ভারতে ‘বৈচিত্রের মাঝে ঐক্য’ নিয়ে আমরা অনেক কথা বলে থাকি, কিন্তু কথাটার সত্য অর্থ উপলব্ধি করতে চাইলে আমাদের কিছু নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দিকে দৃষ্টিপাত করতে হবে। যেমন, এমন নানা উত্সব আছে, যেগুলির ঐতিহাসিক উত্স বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন রকম, অথচ অনেক জায়গাতেই যেগুলি বছরের কোনও একটি সময়েই উদ্যাপিত হয়ে আসছে।
-
Colourful Tales About Christmas
Well, Christmas was not jingling all the way, as early Christians were a persecuted lot who were literally thrown before hungry lions. Such poor souls were just too preoccupied to think in any celebration, not even of the Lord's birthday.Laxmi Puja: Lighting Up The Darkest Night
The first mention that one gets is about the celebration of shining lights is when Ramachandra returned victorious to Ayodhya, though Lakshmi does not feature here. The Kamasutra of Vatsyana, whose final product also appears like the Ramayana in the 3rd or 4th century AD mentions Yaksha's night, when houses should be illuminated with numerous tiny earthen lamps. ‘Yaksha’ were usually short pot-bellied indigenous creatures who stood outside temples as dwaar-paals. The Jain acharyas, Hemchandra and Yashodhara, describe this ‘Yaksha night of lights’ and this point to the Brahmanic adoption of a popular local observance.
আগেভাগে লক্ষ্মীপুজো করে লাভ কী হল
এই উৎসবের প্রথম উল্লেখ পাই রামায়ণে, রামচন্দ্র যখন যুদ্ধজয় করে সীতাকে নিয়ে ফিরলেন, তখন অযোধ্যার ঘরে ঘরে দীপালিকায় আলো জ্বলেছিল। সেখানে অবশ্য লক্ষ্মীর কোনও নামগন্ধ নেই। তৃতীয় বা চতুর্থ শতাব্দীতে রামায়ণের মোটামুটি সমসাময়িক বাত্স্যায়নের কামসূত্রে যক্ষের রাত্রির কথা আছে, যে রাতে ছোট ছোট প্রদীপ জ্বালিয়ে জনপদ সাজাতে হয়। এটি এক লোকাচার, যা ব্রাহ্মণ্যতন্ত্র ক্রমশ গ্রহণ করে নিয়েছিল। কিন্তু এখানেও লক্ষ্মীর কোনও প্রত্যক্ষ উল্লেখ নেই। অবশ্য যক্ষ থেকে যেমন ঐশ্বর্যের দেবতা কুবের এলেন, লক্ষ্মী যদি তেমনই এসে থাকেন, তা হলে আলাদা কথা। তবে এটা ঠিকই যে, পুরাণের দেবী লক্ষ্মী এক সময় যক্ষদের দীপালোকিত রাত্রির উৎসবটি নিজের করে নেন।
Relevance of Swami Vivekananda’s Thoughts in the 21st Century
Swami Vivekananda was one of the greatest patriots, thinkers, philosophers and spiritual leaders, India has ever produced. He lived only for thirty nine and a half years, of which he devoted the last nine and half years totally to the service of humanity. Though he left the world well over a century ago, Swamiji’s teachings remains very relevant to us in the twenty-first 21st Century. This is more so because mankind is struggling more now to adjust to more frequent socioeconomic changes. The very rapid pace at which developments are overtaking us is surely leading to a transitory segment of social confusion, unrest, and apprehension. This produces a very demanding and stressful life style.
Page 5 of 6